বাউফলে ইউএনও’র ভাগ্নিসহ আহত-৩

বাউফলে ইউএনও’র ভাগ্নিসহ আহত-৩

 এম অহিদুজ্জামান ডিউক, প্রতিনিধি বাউফল: ব্যক্তিগত কাজে সরকারী গাড়ি ব্যবহার করে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফলের ইউএনও পিজুস চন্দ্র দের ভাগ্নি তৃষ্ণা রানী (২৭)। ধুমরে মুচরে গেছে গাড়িটির সামনের অংশ। রবিবার বাউফল বগা সড়কের রাজনগর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের কাছে এ ঘানা ঘটেছে। আহত তৃষ্ণা রানীকে  বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে । এ ছাড়াও আহত হয়েছেন  গাড়ির ড্রাইবার মেহেদী ও অফিস সহায়ক আবদুল্লাহ। তাদেরকে  প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দূর্ঘটনার শিকার এই গাড়িটির দাম প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
জানা গেছে, রবিবার বেলা সারে ১১টার দিকে সহকারী কমিশনারের (ভুমি)  সাদা রংয়ের রেজিস্ট্রেশন বিহিন  (গ্রেজ নং ঢাকা৪৮/১) সরকারী পিকআপ গাড়ি নিয়ে ইউএনও পিজুস চন্দ্র দের ভাগ্নি তৃষ্ণা রানীকে ব্যক্তিগত কাজে বরিশাল পাঠানো হয়। সাথে ছিলেন ইউএনওর অফিস সহায়ক আবদুল্লাহ। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মেহেদী। গাড়িটি বগা ইউনিয়নের রাজনগর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের কাছে পৌঁছালে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ইটবোঝাই ট্্রলি গাড়িটিকে সামনের দিক দিয়ে ধাক্কা মারে। এতে সরকারী গাড়িটি ধুমরে মুচরে যায়। গাড়ির সামনের আসনে বসা ছিলেন ইউএনওর ভাগ্নি  তৃষ্ণা রানী আর পিছনের আসনে বসা ছিলেন আবদুল্লাহ। দুর্ঘটনায় তৃষ্ণা  রানী কপালে প্রচন্ড রকম আঘাত পান। দুপুর ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। (জরুরী বিভাগের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১০২৮/৬) বাউফল হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা (পিকে সাহা)  বলেন, ‘ইউএনও’র ভাগ্নির  কপালে তিনিটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তাকে আমাদের অবজারবেশনে বাসায় রাখা হয়েছে। একটু সুস্থ্য হলে সিটি স্কানের জন্য বরিশাল পাঠানো হবে।
বাউফলে  দীর্ঘ দিন ধরে সহকারী কমিশনারে (ভুমি)পদ শূণ্য থাকায় ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে ওই পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ওই অফিসের পিকআপ গাড়িটি তিনি ব্যবহার করেন। এর বাইরেও ইউএনওর কালো রংয়ের একটি  সরকারী গাড়ি রয়েছে। তিনি ইচ্ছেমত গাড়ি দুইটি ব্যবহার করেন। অভিযোগ রয়েছে, ভুমি অফিসের গাড়িটি তিনি ব্যক্তিগত কাজে বেশী ব্যবহার করে থাকেন। কোন আত্বিয় স্বজন আসলে গাড়িটি তারা ব্যবহার করেন। তুন্নু নামের তার এক ভাই ছেলে ইউএনওর বাসায় থাকেন এবং বাউফল সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়েন। ওই গাড়ি করে তাকে স্কুলে আনা নেয়া করা হয়।